সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে সুনামগঞ্জে হাত-পা বেঁধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে চাচা।
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, শ্রীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে লম্পটরা। নিহত শিশুর নাম লিলিমা আক্তার লিলি (৬)। সে নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার পালপাড়া চন্দ্রপুর গ্রামের মো. ফালান উদ্দিনের কন্যা। তার পিতা-মাতা শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের জনৈক সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে হকারের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে আবদার গ্রামের একটি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের
কাছ থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের মো. পারভেজ (১৫)কে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ছোট ভাই সাব্বিরের সঙ্গে খেলছিল। এসময় লুকোচুরি খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় পারভেজ। এরপর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত অনেকটা সময় হলেও লিলির খোঁজ না পেয়ে আশপাশে খোঁজ নেয়া শুরু করে তার স্বজনরা। পরে বাড়ি থেকে একটু দূরে মোসলেম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের একটি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের কাছে লিলির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নিহতদের বোন হালিমা বেগম জানান, বাড়ি থেকে লিলিকে ডেকে নিয়ে যায় পারভেজ। এরপর খোঁজ করে লিলির মৃতদেহ পাওয়া যায়। তখন লিলির পরনে জামা কাপড় ছিল না। ঘটনাস্থল থেকে পারভেজের গেঞ্জি ও জুতা পাওয়া গেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পারভেজ নামে এক কিশোরকে আটক করা হয়।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় হাত-পা বেঁধে ১১ বছর বয়সের ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। ওই শিশুটি মাইজবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে চাচা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। মিজানুর মাইজবাড়ির পশ্চিম পাড়ার মৃত আবদুর রউফের ছেলে।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ওই মেয়েটির বাবা ও মা কাজের জন্য অন্যত্র চলে যায়। এ সুযোগে মিজানুর ভাতিজিকে নিজের ঘরে ডেকে নেয়। পরে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুর চিৎকার শুনে আশপাশের মহিলারা এগিয়ে গেলে মিজানুর পালিয়ে যায়। আহত শিশুকে রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই মোশারফ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে বখাটে মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মিজানুর রহমান নিজের দোষ স্বীকার করেছে।
কালের খবর /২৩/২/১৮